
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: রমজান মাসে দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া এবং পানি কম পান করার কারণে এসিডিটি ও পেটের গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই রোজায় সুস্থ থাকতে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এড়াতে কিছু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
১. সেহরিতে পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খান
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন ডিম, দই, ডাল ও ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে।
সেহরিতে ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন, কারণ এটি পাকস্থলীতে এসিড বাড়ায়।
আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি ও ফল খেলে হজম ভালো হয় এবং পেটে গ্যাস কম হয়।
২. ইফতারে অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুন
ইফতারে খেজুর ও পানি দিয়ে রোজা খুলে হালকা খাবার খান।
চিনি ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কম পান করুন, কারণ এগুলো গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে।
ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন, তবে একবারে বেশি না খেয়ে ধীরে ধীরে পান করুন।
কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
৪. খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান
দ্রুত খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত বাতাস পাকস্থলীতে প্রবেশ করে, যা গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে।
ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে খাবার সহজে হজম হয় এবং এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৫. ভারী ব্যায়াম ও দ্রুত শোয়া থেকে বিরত থাকুন
ইফতারের পরপরই শুয়ে পড়া গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে, তাই অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন।
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও ভারী ব্যায়াম ইফতারের পরপরই করা ঠিক নয়, কারণ এটি পাকস্থলীর উপর চাপ ফেলে।
৬. তীব্র সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যদি নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় বা ব্যথা তীব্র হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ বা প্রাকৃতিক সমাধান গ্রহণ করতে পারেন।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করলে রমজানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই রোজার সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন।