
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর)। দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষে ধর্মীয় সংখ্যালঘু আলাউই সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।
এসওএইচআর-এর তথ্য অনুসারে, লাতাকিয়া, তারতুস ও হামা অঞ্চলের ২০টির বেশি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক, ১২৫ জন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও ১৪৮ জন বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধা। নিহত অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক খুব কাছ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাসান আব্দুল গনি জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে কারও বাড়িতে হামলা বা সম্পত্তি লুট করা না হয়।
লাতাকিয়া প্রদেশের নিরাপত্তা পরিচালক মুস্তাফা কেনিফতি বলেন, “সিরিয়ার জনগণের কোনো অংশকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রতিশোধমূলক হামলা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিকে “প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ” বলে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। দামেস্কের একটি মসজিদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “সিরিয়ায় শান্তি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ন্যায়বিচার ও নৈতিকতা রক্ষার মাধ্যমেই দেশকে স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
এসওএইচআর জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সংঘাতের পুনরাবৃত্তি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় আসাদপন্থী গোষ্ঠী ও বর্তমান সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যা সামগ্রিক স্থিতিশীলতার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।