
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি এই আগ্রাসনকে “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভয়াবহ অপরাধ” বলে অভিহিত করেছেন এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফার্সি নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে খামেনি বলেন, গাজার ওপর ইসরায়েলের হামলা শুধু ফিলিস্তিনের সংকট নয়, এটি গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, আজ সময় এসেছে সব মতভেদ ভুলে গিয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।
তার মতে, শুধু মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী ও মানবাধিকারকর্মীদেরও এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। তিনি বলেন, এই আগ্রাসন বন্ধ না হলে আরও হাজারো নিরপরাধ শিশু প্রাণ হারাবে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হবে, এবং ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী জীবন বেছে নিতে বাধ্য করা হবে।
খামেনি তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকেও এই সংঘাতের জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা ওয়াশিংটনের প্রত্যক্ষ সমর্থন অথবা ইঙ্গিতেই চালানো হচ্ছে।
তিনি শুধু গাজার পরিস্থিতিই নয়, ইয়েমেনে সাম্প্রতিক বিমান হামলারও তীব্র নিন্দা জানান। তার ভাষায়, “ইয়েমেনের নিরীহ জনগণের ওপর চালানো সামরিক হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এটি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।
ফার্সি নববর্ষ উপলক্ষে আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০২৫ সালকে ‘উৎপাদনের জন্য পুঁজি বিনিয়োগের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হলেই ইরান ও মুসলিম উম্মাহ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখতে পারবে।
খামেনি উল্লেখ করেন, বিগত বছরগুলোতে নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ইরানি জনগণ তাদের ঐক্য ও মনোবলের প্রমাণ দিয়েছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শাহাদাতের পর দেশজুড়ে মানুষের বিপুল অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে যে, ইরানি জাতি কখনোই চাপে নতি স্বীকার করবে না।
তার মতে, কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, সামরিক চাপ বা রাজনৈতিক চক্রান্ত ইরানকে দুর্বল করতে পারবে না, বরং এসব চ্যালেঞ্জই দেশকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।