
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের অন্যতম সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ চীনের সাথে বাংলাদেশের নতুন গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠার মাধ্যমে, অনেকেই মনে করছেন, গত ১৬ বছর ধরে করা ভারতীয় দাদাগিরি এবার বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ ইউনূস, যিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, তিনি বলেছেন, চীন এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নতুন যুগের সূচনা করবে।
২০২৫ সালে চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”
এসময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশে চীনের সাথে বন্ধুত্বের মাধ্যমে আমরা অনেক নতুন সুযোগ পেয়েছি। আমরা আশা করি, এই বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে এবং আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারব।”
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, “চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের এই নতুন অধ্যায় আমাদের জন্য একটি সোনালী সুযোগ, যা দেশের জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।”
এই মুহূর্তে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে, অধ্যাপক ইউনূসের মন্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, “ভারতীয় দাদাগিরি দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বাধা সৃষ্টি করেছিল, তবে এখন চীন এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হওয়ায়, ভারতীয় প্রভাব অনেকটা কমে যাবে।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “চীনের নেতাদের সাথে আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হব। আমরা আশা করি, চীনা নেতারা আমাদের উদ্যোগে সহায়তা করবেন এবং বাংলাদেশকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
তিনি শেষ করেন, “চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ তাদের স্বাধীনতা এবং অধিকার আরও শক্তিশালীভাবে প্রয়োগ করতে পারবে।”