আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে একযোগে প্রায় ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করা হলেও বাকিগুলো বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো আশকেলন ও গ্যান ইয়াভনে পড়েছে, এতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্তত তিনজন সামান্য আহত হন।
ঘটনার পরপরই ইসরায়েলি বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র পতনের স্থানগুলোতে সৈন্য মোতায়েন করে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই শুরু করে।
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডস। তাদের দাবি, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর আশদোদের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা সামরিক অভিযান এবং এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আরোপিত অবরোধে অঞ্চলটির পরিস্থিতি চরম মানবিক সংকটে পতিত হয়েছে। পরিবহন, খাদ্য, ওষুধসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে মারাত্মক ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যা স্থানীয়দের জীবনযাপনকে করে তুলেছে দমবন্ধকর।
ইসরায়েলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে। ওই দিন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে।
দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে গাজায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। আহত ও নিহতদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
গাজা-ইসরায়েল উত্তেজনা আবারও নতুন মাত্রা পেয়েছে। একদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অন্যদিকে ইসরায়েলের অব্যাহত অভিযান ও অবরোধ—সব মিলিয়ে অঞ্চলটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।