৯ই জুলাই, ২০২৫, ১৩ই মহর্‌রম, ১৪৪৭
সর্বশেষ
দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকার কাছে লজ্জাজনক ভাবে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
সিরিজ জয় করতে লংকানদের দেয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বোল্ড নাজমুল শান্ত! ফিরলেন তামিমও
অঘোষিত ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা, মেন্ডিসের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে ছুটছে স্বাগতিকরা
গাজায় বোমা বিস্ফোরণে ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত ১৪
দুই জমজ কন্যা শিশুকে পানিতে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করল বাবা ও মা! তবে কি মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করা অপরাধ?
গাজায় একদিনে ১০৫ ফি’লি’স্তিনিকে নৃশংসভাবে হ*ত্যা করেছে হা/য়/না ই’স’রা’ইল!
সুযোগ পেয়েও লারার রেকর্ড না ভেঙ্গে নৈতিকতার ইতিহাস গড়লেন মুল্ডার
্যর
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের নেপথ্যে: ইরানে নতুন করে হামলার অনুমতি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হা/য়/না নেতানিয়াহু
দ’খ’ল’দার ই’জ’রাইল ও মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি ইরানের
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ভাটা, দেশে অস্থিরতা বাড়বে: দ্রুত নির্বাচন না দিলে দেশ পিছিয়ে পড়বে: মির্জা ফখরুল
পবিত্র আল আকসা মসজিদ চত্বরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে ই’জ’রাইলি হা/য়/না/রা!
৫ মাস পর জাতীয় নির্বাচন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ই’জ’রা’ইলকে ‘গণহ*ত্যাকারী’ আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন উদ্বোধন করলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা
গাজায় মানবিক সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে আরও ৮২ ফিলিস্তিনিকে হ’ত্যা করেছে ই’জ’রা’ইল

ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল পুরো জাবালিয়া। মুহূর্তেই মাটিতে মিশে গেল এক আবাসিক ভবন। ধুলো, রক্ত আর কান্নার মাঝে যখন সবাই নিথর হয়ে গিয়েছিল, তখন সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে কাঁপতে কাঁপতে বেঁচে ছিলেন এক মা—অন্তঃসত্ত্বা আলা মানুন।

তার চারপাশে কেবল কংক্রিট, রক্ত আর প্রিয়জনদের নিথর দেহ। স্বামী, ছোট্ট কন্যা আর মা—তিনজনই এই এক হামলায় ঝরে গেল। বেঁচে রইলেন শুধু আলা এবং তার গর্ভের শিশু।

স্বেচ্ছাসেবীরা যখন তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করে আনেন, তখন তাঁর চোখে ছিল বিস্ময় আর কান্না—তিনি যেন নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তিনি এখনও বেঁচে আছেন! স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, খবরটা জানানো হলো—”তোমার সবাই চলে গেছে!”

সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আলা মানুনের কণ্ঠ। এরপর হঠাৎ করেই ছুটে এলো বুকফাটা কান্না, যা যেন গোটা গাজার কান্নাকে একসাথে ধ্বনিত করল।

জাবালিয়ার এক চিকিৎসক জানান, মানুনের গোড়ালি ভেঙে গেছে। গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থা এখনও অজানা, কারণ স্ক্যান মেশিন নেই। গাজার একমাত্র কার্যকর স্ক্যানার ছিল আল-আহলি হাসপাতালে, সেটিও ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বোমায়।

গাজার বাতাসে এখন শুধুই মৃত্যু আর মাতৃত্বের আহাজারি।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে শত শত শিশু—যুদ্ধের মাঝেই তারা জীবনের প্রথম নিঃশ্বাস নিচ্ছে, যেখানে দুধ নেই, ওষুধ নেই, এমনকি চিকিৎসকও নেই।

একটি প্রশ্ন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়: এই নবজাতকেরা কী অপরাধ করেছিল? কেন একটি গর্ভবতী মাকে তার সন্তানসহ ধ্বংসস্তূপে শুয়ে থাকতে হয়?

এই খবর শুধু একটি অলৌকিক উদ্ধারের গল্প নয়, এটি এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার চিৎকার।
যেখানে শান্তি নেই, যেখানে প্রতিরোধ নেই—সেখানে কেবল কান্না, ক্ষুধা আর মৃত্যু।

গাজার মাটিতে আজও শুয়ে আছে শত শত এমন “অলা মানুন”, যারা বেঁচে আছে, কিন্তু আর কিছুই নেই তাদের কাছে।

এই অন্ধকারের মধ্যেও, সেই নারীর বেঁচে যাওয়া যেন জীবনের প্রতি এক উদাত্ত চিৎকার—
“আমি এখনো বেঁচে আছি। আর আমার গর্ভে এক নতুন জীবন ধ্বংসের মাঝেও জন্ম নিতে চায়।”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত