১২ই মে, ২০২৫, ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
ফেসবুক-ইউটিউবে আ.লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্টে সমালোচনার ঝড়
কারান ও মিচেলের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা ক্ষমা চাইলেন টাইগার লেগি কিং তারকা রিশাদ হোসেন, কিন্তু কেন ক্ষমা চাইলেন?
হাসিনার বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা
এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের হুঙ্কার
‘কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না’: পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে শেবাগ-ধাওয়ানের পোস্ট, উওরে এক পাকিস্তানি বলল গোঁ মূ’ত্র খেয়ে তারা পাগল হয়েগা!
পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকারে তীব্র তোপের মুখে মোদী সরকার
পাকিস্তানের সাথে যু’দ্ধে নিজেদের কতজন সৈনিক মারা গেল জানালো ভারত
ভারত-পাকিস্তান যু’দ্ধ চলাকালীন যে ভয়ংকর গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিএনপি খুব আনন্দিত বললে মির্জা ফখরুল
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে রাতের অন্ধকারে যেভাবে দেশ ছেড়ে পলায়ন করলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বুড়া মানুষ গুলি খাইছে, মরলে সমস্যা নেই’ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত বৃদ্ধাকে দেখে ডাক্তারের নিষ্ঠুর আচরণে লজ্জিত সমগ্র জাতি

আওয়ার টাইমস নিউজ।

জুলাই বিপ্লব ডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থনে পুলিশের গুলিতে শহীদ শাহিনূরের করুণ পরিণতি, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ক্ষোভ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ডেমরা ও কদমতলীতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বহু আন্দোলনকারী ও পথচারী। তেমনি এক শহীদ হলেন কাজলার মাছ ব্যবসায়ী ৫৭ বছর বয়সি শাহিনূর বেগম, যিনি ২২ জুলাই সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতে বের হলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন।

গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে এক চিকিৎসকের অমানবিক মন্তব্য জাতিকে হতবাক করে দিয়েছে—“বুড়া মানুষ গুলি খাইছে, মরে গেলে সমস্যা নেই। আইসিইউ দরকার যুবকদের জন্য।” এই কথাগুলো যখন শাহিনূরের মেয়ে হাফেজা বলেন, তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবেশ।

শাহিনূরকে প্রথমে শনির আখড়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার প্রথম দিকেই অবহেলা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। আইসিইউ না পেয়ে তিন দিন পরে স্থান মেলে, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। প্রায় এক মাস ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শাহিনূর মারা যান, মুখে একটি কথাও না বলে।

মেয়ে হাফেজা বলেন, “যদি প্রথম দিনই আইসিইউ পেতাম, তাহলে হয়তো মায়ের জবানটা অন্তত শুনতে পেতাম।”

শাহিনূরের মৃত্যুর পর কিছু সংগঠন ও জেলা প্রশাসন আর্থিক সহায়তা দিলেও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কোনো অনুদানই মায়ের জীবনের মূল্য ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

এই ঘটনায় চিকিৎসা ব্যবস্থার অমানবিকতা, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমননীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আবারও সামনে উঠে এসেছে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত