আওয়ার টাইমস নিউজ।
টাইমস ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। পালাতক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। এই পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।
এনসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইন্টারপোলের কাছে এ পর্যন্ত তিন দফায় রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন করা হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) ইনামুল হক।
রেড অ্যালার্টের আওতায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন:
শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি)
ওবায়দুল কাদের (সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী)
আসাদুজ্জামান খান (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী)
আ ক ম মোজাম্মেল হক (সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী)
হাছান মাহমুদ (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী)
জাহাঙ্গীর কবির নানক (সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী)
মহিবুল হাসান চৌধুরী (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী)
শেখ ফজলে নূর তাপস (সাবেক মেয়র, ডিএসসিসি)
মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক (সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা)
নসরুল হামিদ (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী)
মোহাম্মদ আলী আরাফাত (সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী)
বেনজীর আহমেদ (সাবেক আইজিপি)
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত এবং তাদের গ্রেপ্তারে এই রেড নোটিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবেদনগুলো মামলার প্রাপ্ত অভিযোগ ও প্রমাণাদির ভিত্তিতে করা হয়েছে।
পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগে রেড অ্যালার্ট আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনাসহ বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের নানা প্রমাণ সংযুক্ত করে আবেদন দাখিল করা হয় ১০ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম রেড অ্যালার্ট জারির উদ্যোগ নেওয়া হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের অনুরোধে। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশের আদালতে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ওয়ারেন্ট বিদ্যমান রয়েছে বলে জানায় এনসিবি। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন দফতরের পাঠানো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।