
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা এবং অত্যাচারে মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ হাজার ২৬০-এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে একাধিক নারী ও শিশু রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার। গাজায় আক্রমণের ফলে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, ইসরায়েলি বাহিনী সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন, এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪ হাজার ৯৫০ জন। অধিকাংশ নিহতই নারী ও শিশু, যাদের প্রতি হামলা এবং নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়েছে। গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়েছে, যেখানে চিকিৎসা, খাদ্য এবং পানি সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বারবার এই সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হলেও, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আক্রমণ থামাতে রাজি নয়। গাজার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও, ইসরায়েলি সেনারা অব্যাহতভাবে বোমাবর্ষণ এবং আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার আল ডোরা পেডিয়াট্রিক হাসপাতালসহ একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আক্রমণ চালানো হয়েছে, যেখানে অসংখ্য মানুষ আহত এবং প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, মার্চ মাস থেকে হামলা পুনরায় শুরু হওয়ায় গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের উপর এই অমানবিক আক্রমণ বন্ধ করা এবং গাজার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবারও জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
বিশ্ব নেতাদের কাছে আরও একটি জরুরি আবেদন, গাজার জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে গাজার জনগণকে রক্ষা করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।