আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১২ জন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। তারা সেখানে পুরো দিন আত্মগোপনে ছিলেন এবং রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই কক্ষে অবস্থান করেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করেন পলক নিজেই। তিনি আদালতে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি চাই, জেলগেটেই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক—সেখানে আমি সঠিক তথ্য দিতে প্রস্তুত।”
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় শুনানি শেষে পলকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে বিভিন্ন সময় তাকে হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার মতো স্পর্শকাতর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এই মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই মামলাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন পলকের সমর্থকরা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং তদন্ত সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমস্ত অভিযোগ ও তদন্ত আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হচ্ছে এবং এতে কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই।