আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এখনকার পরিস্থিতি, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার এক নতুন অধ্যায়ে পৌঁছেছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে এক অস্বাভাবিক সশস্ত্র হামলার পর, ভারত একের পর এক কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। ভারত এই পদক্ষেপগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখেছে, যার ফলে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, "ভারতের একতরফা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব।" তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, সিন্ধু পানি চুক্তি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, এবং ভারত একতরফাভাবে এটি স্থগিত করতে পারে না। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি শুধুমাত্র দুই দেশের জন্য নয়, বরং বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এদিকে, ভারত সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে এবং কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলমান, এবং সাম্প্রতিক এই ঘটনার পর তা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তবে উত্তেজনার মাত্রা আরও বাড়তে পারে, এবং পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি কী আসছে? এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। দুই দেশের নেতৃবৃন্দ যদি সংযম না দেখান এবং সংকট মোকাবিলা না করেন, তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
ভারতের এই কঠোর পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। যদিও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি আলোচনা চলছে, তবে বিষয়টি যদি আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যে কোনো সময় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে।