
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে ফের চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার জেরে ভারত একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান—পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলে তা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রয়োজনে ‘পূর্ণ জাতীয় শক্তি’ প্রয়োগ করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে একটি বিরল শান্তিচুক্তি হিসেবে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে টিকে ছিল। চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু নদী ও এর উপনদীগুলোর পানি ব্যবহারে অধিকতর সুবিধা পেয়ে আসছিল, যার ওপর দেশটির কৃষি ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল।
ভারত সরকারের ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) গত বুধবার পেহেলগাম হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। ভারতের দাবি, এটি পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল। কিন্তু ইসলামাবাদ এই সিদ্ধান্তকে দেখছে সরাসরি তাদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হিসেবে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (NSC) এক কড়া বিবৃতিতে জানায়—যদি ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু নদীর পানি আটকে দেওয়া হয় বা অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়, তবে সেটি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য হবে এবং পাকিস্তান তার জবাবে ‘সম্পূর্ণ জাতীয় শক্তি’ প্রয়োগে এক মুহূর্তও দেরি করবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারের হুমকি আসলে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের ইঙ্গিত বহন করে। কেউ কেউ আরও সরাসরি বলছেন, পানি এখন পাকিস্তানের ‘জাতীয় নিরাপত্তার অংশ’ হিসেবে বিবেচিত, সুতরাং যেকোনো বাঁধ বা অবকাঠামো যা পানি প্রবাহ ব্যাহত করবে, তা লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হতে পারে।
এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলার ঘটনার সময়ও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যা শেষ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক