আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতার ও জাতিসংঘ গাজার অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তীব্র আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, যদি অবরোধ অব্যাহত থাকে, তাহলে গাজায় লাখ লাখ মানুষ খাদ্য অভাবে মৃত্যু ঘটাতে পারে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সম্প্রতি দোহায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানান, গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে কিছু অগ্রগতি ঘটেছে, তবে চূড়ান্ত সমাধান এখনও অনিশ্চিত। শেখ মোহাম্মদ বলেন, "যুদ্ধ বন্ধ করার মূল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা দরকার।"
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিদান গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণকে "জাতিগত নিধন" হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।" তিনি আরো যোগ করেন, "মানবিক সহায়তা দুই মাস ধরে গাজায় পৌঁছাচ্ছে না, এটি একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।"
জাতিসংঘের মতে, গাজায় খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, আর তাদের ত্রাণ সরবরাহও শেষ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, "অবরোধ প্রত্যাহার না করলে গাজার মানুষদের জীবন রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।"
এদিকে, ইসরায়েল গাজায় এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে রবিবার অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে, এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুদ্ধের শুরু থেকে ৫২,২৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১৭,৬৩৯ জন আহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, গাজার মানুষরা খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সেবার অভাবে দিন কাটাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রসঙ্গে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "গাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে একমাত্র সমাধান হল, অবরোধ তুলে নেওয়া এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো।" জাতিসংঘও একই মত পোষণ করে বলেছে, "মানবিক সহায়তা কখনোই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।"
গাজায় ১৮ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সেখানে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রচেষ্টা চালালেও, ইসরায়েলের আক্রমণ এবং খাদ্য সংকট পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠেছে।