২৪শে মে, ২০২৫, ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে দেশে ফিরবেন পিনাকী-ইলিয়াস ও কনক সরওয়ার!
সিন্ধুর পানি আর যাবে না পাকিস্তানে! মোদির হুঙ্কার ঘিরে নতুন যুদ্ধের সুর
ইস*রা*য়েলি আ*গ্রা*সনে নিহত ১৬,৫০০ শিশু: গাজায় ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়
অসহযোগিতায় ক্ষুব্ধ অধ্যাপক ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টার পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন
ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত? সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এলো কঠোর শাস্তির অধ্যাদেশ
যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে, তাহলে সরকারে থেকে আমার লাভ কী? পদত্যাগের গুঞ্জনে নাইদ ইসলামকে এমন কথাই বললেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্রে ২ ই’জ’রাইলি কর্মকর্তাকে খুন করে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন ওই যুবক
জ’ঘন্য পারফরম্যান্স ও বাজে ক্যাপ্টেন লিটনে আসক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন টাইগার ক্রিকেট বোর্ড! দুর্বল আমিরাতের বিপক্ষে নির্লজ্জ পরাজয়ে সমালোচনার ঝড়
চামড়া সংরক্ষণে ঈদের আগে ৩০ হাজার টন লবণ দেবে সরকার
আন্তর্জাতিক মিত্র হারাচ্ছে ইসরায়েল, কূটনৈতিকভাবে একঘরে হওয়ার পথে
ভারত ৮ দিনে দ্বিতীয় পাকিস্তানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করল
জেনিনে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের দিকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণ
গাজায় ইস*রা*য়েলি হাম*লায় নিহত ৫২, সহায়তা পৌঁছাতে ব্যর্থ
ইসরায়েলি দাবির পরেও গাজায় পৌঁছায়নি একটিও ত্রাণ, সীমান্তেই আটকে রয়েছে সহায়তা

বজ্রপাত ঠেকাতে কোটি টাকা খরচ, প্রকল্প ব্যর্থ—কোথাও নেই ফলাফল!

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে জুন—এই তিন মাস বজ্রাঘাতে প্রাণহানির হার বিশ্বে সর্বাধিক। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি বছর দেশে প্রায় ৮৪ লাখ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে, যার ৭০ শতাংশই এই মৌসুমে। ভয়ংকর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধে একের পর এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবে সেগুলো হয়ে উঠেছে ব্যর্থতার গল্প।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খোলা মাঠ, হাওর-বাঁওড়, খেত-খামারে বজ্রাঘাতে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। হাওরাঞ্চলের মানুষ বজ্রপাতকে এখন মৃত্যুর ছায়া হিসেবে দেখছে। কিন্তু জীবন বাঁচাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো কার্যত হয়ে দাঁড়িয়েছে কাগুজে পরিকল্পনা আর অর্থের অপচয়ের এক নির্মম উদাহরণ।

২০১৬ সালে বজ্রপাতকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। এরপর বজ্রপাত প্রতিরোধে নেয়া হয় একাধিক প্রকল্প। প্রথম দিকে তালগাছ লাগানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়। কোটি তালের আঁটি রোপণের কথা বলা হলেও বাস্তবে সেগুলোর কোনো হদিসই মেলেনি। কয়েক বছর পর দেখা গেল, আঁটি হারিয়ে গেছে, চারা মরে গেছে, আর অর্থের গলদিঘি হয়েছে বিশাল।

পরবর্তীতে স্বীকার করা হয়, তালগাছ প্রকল্প ভুল ছিল। কারণ, একটি তালগাছ পরিপূর্ণ হতে ৩০-৪০ বছর সময় লাগে। তাই প্রকল্প বাতিল করা হয়। কিন্তু ততদিনে শত কোটি টাকার সম্পদ কোথায় গেল, তার কোনো জবাব নেই।

তালগাছের ব্যর্থতার পর আশার আলো দেখাতে আনা হয় আরেক প্রকল্প—লাইটেনিং অ্যারেস্টার স্থাপন। ১৫টি জেলায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে পরিকল্পনা হয় ৩৩৫টি বজ্রনিরোধক দণ্ড বসানোর। বাস্তবে দেখা গেল, বেশিরভাগ জায়গায় দণ্ড বসানোই হয়নি। বরং প্রকল্পের অর্থ চুরি হয়ে গেছে বলে উঠে এসেছে তদন্তে।

আজও বজ্রপাত ঠেকাতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর ফলাফল প্রশ্নের মুখে। মাঠে-ময়দানে বজ্রাঘাতে প্রাণ যাচ্ছে, আর কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে অদৃশ্য খাতে।

শেষ কথা হলো: প্রকল্পের নাম দিয়ে কাগজে কলমে পরিকল্পনা হয়, বাস্তবে মাঠে থাকে শুধু শূন্যতা আর হারানো প্রাণের দীর্ঘশ্বাস।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত