
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকা যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের টানা ৬০ দিনের অবরোধে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির ঘাটতিতে মানুষ যেন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হেরে যেতে বসেছে।
খাবারের চরম সংকটে পড়ে অনেক ফিলিস্তিনি Turtle বা কচ্ছপ খেয়ে জীবন রক্ষার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতটাই সংকট যে, শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে গিয়েও অশ্রুসিক্ত হচ্ছেন মা-বাবারা।
এদিকে, গাজার বেঁচে থাকার শেষ ভরসা দাতব্য কমিউনিটি কিচেনগুলিও একে একে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। একসময় ১৭০টির বেশি কিচেন চালু থাকলেও বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০-৮০টিতে। এসব রান্নাঘরও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ‘প্যালেস্টিনিয়ান এনজিও নেটওয়ার্ক’-এর পরিচালক আমজাদ শাওয়া। প্রতিদিন হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে এই রান্নাঘরগুলো।
আল সালাম অরিয়েন্টাল ফুড কিচেনের প্রধান সালাহ আবু হাসিরা জানান, “আমরা হয়তো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাব। প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষকে খাবার দিই, কিন্তু জোগান নেই, সাহায্য নেই।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এটিকে “এক নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রায় শেষ সীমায় এসে দাঁড়িয়েছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি গাজার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও নিষ্ঠুর অবরোধ, যা মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে।