
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানবিক বিপর্যয়ে ক্ষতবিক্ষত গাজাবাসীর জন্য খাবার ও ওষুধ নিয়ে যাওয়া একটি ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাল্টার আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলায় আগুন ধরে যায় জাহাজটিতে। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
এই জাহাজটি ছিল ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন’ নামক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার মালিকানাধীন, যা গাজার অবরুদ্ধ মানুষের সহায়তায় খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। দুটি সশস্ত্র ড্রোন থেকে সরাসরি আঘাতে জাহাজটির সামনের অংশে বড় গর্ত তৈরি হয় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
জাহাজটিতে ১২ জন ক্রু ও ৪ জন মানবাধিকার কর্মী ছিলেন, যাঁরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে মাল্টা কর্তৃপক্ষ। হামলার পর মাল্টার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড দ্রুত উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয় এবং রাত ২টার কিছু পর যাত্রীদের নিরাপদে বন্দরে নিয়ে আসে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে এবং মাল্টা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে দায়ী করার জন্য তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হোক।
এদিকে মাল্টার প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, হামলায় জাহাজের ইঞ্জিন ও জেনারেটর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মাল্টার নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও সরকার পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, চলমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এর আগে ২ মার্চ ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়, যা এখনও বহাল রয়েছে।