
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সোমবার রাতে একযোগে তিনটি দেশের ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবানন, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে পরিচালিত এই সমন্বিত সামরিক অভিযানে লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক অবকাঠামো। বিশ্লেষকদের মতে, এই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা আরও ঘনীভূত করবে।
প্রথম হামলাটি চালানো হয় লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকা সংলগ্ন জান্তা শহরের উপকণ্ঠে। সেখানে ছয়টি পৃথক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে শারা পাহাড় এলাকাতেও হামলা চলে। দক্ষিণ লেবাননের স্রিফা গ্রাম ও টাইর হারফার কিছু ঘরবাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা।
এর পাশাপাশি, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর সরঘায়ায়ও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। শহরটি লেবাননের পাহাড়ি অঞ্চলের বিপরীতে অবস্থিত, এবং এই এলাকা হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ চলাচলের পথ হিসেবে পরিচিত। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এই সমস্ত হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ধ্বংস করা।
তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে ইয়েমেনে। হুতি-নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরের আশপাশে ছয়টি এবং রাজধানী সানার নিকটবর্তী এলাকায় আরও তিনটি বড় ধরনের বিমান হামলা চালানো হয়। হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভির দাবি, এই হামলাগুলো “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ আগ্রাসন” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনা সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই অভিযানে অংশ নেয় প্রায় ৩০টি যুদ্ধবিমান। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল হুতি বিদ্রোহীদের এমন সামরিক ঘাঁটিগুলো, যেখান থেকে রেড সি অঞ্চল ও ইসরায়েলের দিকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে থাকে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই তিন দেশের ওপর একযোগে চালানো হামলা একটি বড় আঞ্চলিক সংঘাতের ইঙ্গিত বহন করছে, যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা কাঠামোকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সূত্র: Al Jazeera (aljazeera.com)