আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা দক্ষিণ এশিয়ার দুই চির শত্রু দেশ ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং তীব্র উত্তেজনার পর অবশেষে দু-দেশ একটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ decisive ভূমিকা রাখে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
সিএনএনের বরাতে জানা যায়, সংঘাত চলাকালীন এক ভয়ংকর গোয়েন্দা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আসে, যা যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সরাসরি ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
টানা ৪৮ ঘণ্টা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ নেতারা, যার মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস। তাদের মতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
হোয়াইট হাউসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “ভ্যান্স ও মোদির মধ্যকার ফোনালাপ ছিল এই সংকট নিরসনের টার্নিং পয়েন্ট। মোদি কৌশলগতভাবে সংযম দেখিয়েছেন।” ভ্যান্স পূর্বে মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, এবং সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়েই তাঁকে আলোচনার পথে আনতে সমর্থ হন।
যদিও ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সরাসরি স্বীকার করেনি, তবে সিএনএন বলছে, শান্তি আলোচনার টেবিলে উভয় দেশকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রই মূল সহায়ক ছিল।
এটি স্পষ্ট, সীমান্তে আকস্মিক শুরু হওয়া এই সংঘাত বড় ধরনের যুদ্ধ বা পরমাণু সংঘর্ষে রূপ নিতে পারত। তবে সময়মতো যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গোয়েন্দা তথ্য এবং কৌশলগত চাপ সংঘাতকে যুদ্ধের আগেই থামিয়ে দিয়েছে।
________________________________________________
প্রিয় দর্শক নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে আমাদের Our Time's News এর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলটি ফলো করে আসার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ