
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং হামাস সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের কোনো সম্ভাবনা নেই—এই বক্তব্য দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার রাতে আহত সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা পূর্ণ শক্তিতে গাজায় প্রবেশ করতে প্রস্তুত। হামাসকে ধ্বংস করাই এখন মূল লক্ষ্য।
এই বৈঠকের একটি ভিডিও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হয়, যা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা জিম্মিদের মুক্ত করবো এবং হামাসকে নির্মূল করবো—এই দুই কাজ একসঙ্গে শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, জিম্মিমুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু সময়ের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে। “হামাস যদি বলে—‘আমরা আরও ১০ জন জিম্মি ছাড়বো’, আমরা সেটা নেব। এরপর আবার অভিযান শুরু করব। যুদ্ধ থামবে না,” যোগ করেন তিনি।
এদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের ভবিষ্যত নিয়েও নেতানিয়াহু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি পরিকল্পনা করছি, যাতে গাজার সাধারণ মানুষ অন্য কোনো দেশে যেতে পারে। আমি মনে করি—যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি গাজাবাসী দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইবে।
তিনি আরও দাবি করেন, “হামাস গাজায় থাকবে না। আমরা এমন এক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি, যেখানে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা জীবন বাঁচাতে দেশ ত্যাগ করতে পারবে, তবে অবশ্যই তাদের গ্রহণের জন্য প্রস্তুত দেশ থাকতে হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত আহত সেনারা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃঢ় অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “এই যুদ্ধ শেষ করতে হলে কঠোর অবস্থানই একমাত্র পথ।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। শান্তির আলোচনার বদলে যুদ্ধ ও জিম্মিমুক্তির শর্তে সাময়িক বিরতির কথায় আবারও গাজায় বিপর্যয় ও উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।