
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েক দিনের টানা বর্ষণে উত্তরের নদনদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে তিস্তা। এরই মাঝে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ভেঙে গেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সেই ভাঙা পথ বেয়ে তীব্র স্রোতে লোকালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ছে নদীর পানি, তৈরি হয়েছে প্লাবনের ভয়।
তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানির চাপ এতটাই বেড়েছে যে, কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে সবকটি জলকপাট একযোগে খুলে দিয়েছে। রাতের বেলায় বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে নদীর পানি। সন্ধ্যার আগেও পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে, তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
তীব্র পানির তোড়ে লালমনিরহাট ও নীলফামারীর বেশ কয়েকটি নিচু চাষাবাদ এলাকা ও চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকায় একটি কাঁচা রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, যার ফলে আশপাশের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। এলাকাবাসী ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি রক্ষায় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরির চেষ্টা করছেন।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, যদি পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে তিস্তা নদীর পারের প্রায় ৮-১০টি চরের মানুষজন এখনই গবাদি পশু, শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যদিও পানি উন্নয়ন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনো এটি পূর্ণমাত্রার বন্যা নয়, তবে পরিস্থিতি দ্রুতই খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে বলে তারা সতর্ক করেছেন। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। যদি ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকে, তাহলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিচু অঞ্চলগুলো মারাত্মকভাবে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।




























