
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: এক বছর আগে যে দিনে ইতিহাসের মোড় ঘুরে গিয়েছিল, সেই ‘৩৬ জুলাই’ আজ আবার ফিরে এসেছে নতুন বার্তা নিয়ে। আজ বিকাল ৫টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করবেন বহু প্রতীক্ষিত ও ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’।
দিনভর রাজধানীর রাজপথে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে এই ঐতিহাসিক দিবস। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, রয়েছে দেশবরেণ্য শিল্পীদের গান, নাট্য পরিবেশনা, ড্রোন শো ও আলো-আঁধারির চমকপ্রদ আয়োজন। আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর মাধ্যমে ফিরে পাওয়া গণতান্ত্রিক স্বপ্নকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা।
জুলাই ঘোষণাপত্রে স্থান পেয়েছে মোট ২৬টি দফা। এতে স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ৯০’র গণ-আন্দোলন, একদলীয় শাসনের পরিণতি, ভোটাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নসহ সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্লেষণ রয়েছে। শেষের পাঁচটি দফায় ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ, মানবাধিকার, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং আইনের শাসনের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভোটাধিকার হরণ ও দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যেভাবে এক হয়েছিল, তাতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। এই অভ্যুত্থানকে বৈধ, যুক্তিসঙ্গত ও গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে—২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে এটি কার্যকর বলে গণ্য হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচনে বিজয়ী সরকার সংবিধান সংস্কার করে এ ঘোষণাপত্রকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং অভ্যুত্থান-২০২৪-কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেবে।
অনুষ্ঠানে দেশের সকল রাজনৈতিক দল, শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত রয়েছেন। একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সুশীল সমাজ ও পেশাজীবীরা।
আজকের এই আয়োজন শুধু একটি ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক স্মারক, যেখানে জেগে ওঠে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ, তরুণদের স্বপ্ন, এবং একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি।




























