
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে সাতজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে এসেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনার বলেন, বাদশাহ নামে এক ব্যক্তি গোলাপি নামের এক নারীর সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক তুহিন সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন। এই ভিডিও ফুটেজ মুছে না দেওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে হত্যা করে।
তিনি স্বীকার করেন, পুলিশের জনবল স্বল্পতার কারণে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধ দমন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে কিছুটা ব্যর্থতাও ঘটেছে। তিনি নিহত তুহিনের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সাংবাদিক সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি স্বাধীন ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। র্যাব জানায়, শিববাড়ি এলাকা থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয় এবং জানায়, তুহিনের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ যাতে প্রকাশ না পায়, সে জন্যই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, হাতে থাকা প্রযুক্তিগত ও ভিডিও প্রমাণ এই মামলায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।




























