
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে ফোনালাপে আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথোপকথনে তিনি বলেন, রাজাকারের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই? সবগুলোকে ফাঁসি দিয়েছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।
এই অভিযোগ সোমবার (১১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চানখারপুল গণহত্যা মামলার সূচনা বক্তব্যে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলাটি শুনেন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল—চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা ও ঢাবির সাবেক ভিসির ওই ফোনালাপের অডিও ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। অডিওতে শোনা যায়, শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইংল্যান্ডে ছাত্ররাজনীতির জন্য কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলেছিল, ওই রকম অ্যাকশন নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সোমবার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয় এবং পরবর্তী সাক্ষীর জন্য মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিন ধার্য করা হয়।
দিনের শুরুতে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিন বিচারপতি এজলাসে ওঠেন। চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হন শহীদ আনাসের বাবা সাহরিয়ার খান পলাশ। শপথ পাঠের পর তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনার বিবরণ দেন এবং তার ছেলে আনাসসহ গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের জন্য দায়ীদের ফাঁসির দাবি জানান।




























