
আওয়ার টাইমস নিউজ।
মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক: ডেস্ক: ইসরাইল কৌশলগতভাবে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ‘স্ট্যাটাস কো’ ভেঙে সেখানে প্রকাশ্যে ইহুদিদের প্রবেশ, প্রার্থনা, এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখন নিয়মিত হয়ে উঠেছে।
আল-আকসার তত্ত্বাবধায়ক ইসলামিক ওয়াকফের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, ইসরাইল জোরপূর্বক ইহুদিদের সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার সংকুচিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে।
ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরাইলি বাহিনী এখন আল-আকসার প্রবেশাধিকার কড়াকড়ি করছে। অনেক তরুণ মুসল্লিকে মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি শুক্রবারে যেখানে একসময় লক্ষাধিক মানুষ নামাজ পড়তেন, সেখানে এখন কয়েক হাজারের বেশি মুসল্লিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
এদিকে চরমপন্থী ইহুদি সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আল-আকসা ভেঙে তৃতীয় মন্দির নির্মাণের দাবি জানাচ্ছে। সম্প্রতি ইসরাইলি মন্ত্রীরা প্রকাশ্যেই এ পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজায়েল স্মোরিচ সরাসরি বলেছেন-আল-আকসায় সিনাগগ তৈরি হবে এবং শেষ পর্যন্ত সেখানে তৃতীয় মন্দির নির্মাণ করা হবে।
ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, আল-আকসা দখলের ষড়যন্ত্র এখন প্রকাশ্য। প্রথমে আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরে পুরো মসজিদ ইসরাইল দখল করতে চাইছে। ইসলামিক ওয়াকফ বলছে, এটি সাময়িক নয়—বরং একটি সুদূরপ্রসারী প্রকল্প, যার লক্ষ্য মসজিদের ওপর পূর্ণ ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, মুসলিম বিশ্বের নীরবতা ও নেতাদের চাটুকারিতার কারণেই আজ ইসরাইল এভাবে আল-আকসাকে দখল করছে।
সূত্র: আল জাজিরা-সিএনএন বিবিসি




























