
আওয়ার টাইমস নিউজ
ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর লুটের ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পৃথক প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫১ জন ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসনের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও পর্যটন স্থানের সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন, সাদাপাথরে বিএমডির স্থায়ী অফিস স্থাপন, টাস্কফোর্সের অভিযান ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি, সবুজায়ন কার্যক্রম জোরদার এবং প্রতিটি সংস্থাকে নিজস্ব তদন্ত পরিচালনার সুপারিশ করা হয়। তবে তদন্ত কমিটি বিজিবির সহযোগিতা পায়নি বলেও অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অন্যদিকে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসনের উপস্থিতি ও বিজিবির টহল থাকা সত্ত্বেও কয়েক মাস ধরে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ইন্ধন ছাড়া এত বড় ধরনের লুট সম্ভব হয়নি। প্রতিবেদনে বিএনপির ২০ নেতার নাম উঠে আসে। তবে সিলেট মহানগর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ অস্বীকার করে। একইভাবে জামায়াত ইসলামী সিলেট মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনের নামও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, যা দলীয়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াত।
দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক জানিয়েছেন, প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে অনুসন্ধান নথি খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।




























