
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে প্রকাশ্য কথার লড়াই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানি ঘিরে বিএনপি ও এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন ভবনের ঘটনাকে তিনি ‘টেস্ট ম্যাচ’ আখ্যা দেন।
এসময় রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যেও অনেকেই আছেন, যারা আওয়ামী লীগের থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, ফ্ল্যাটভোগী এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
পরবর্তীতে নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লেখেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও কোনো নারীর ব্যক্তিগত জীবন বা শরীর নিয়ে কটূ মন্তব্য করা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি রুমিনসহ যেকোনো নারীর প্রতি স্লাটশেমিংয়ের বিরোধিতা করেন।
তবে সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুমিন ফারহানা। তিনি লেখেন-“এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?” একই সঙ্গে হাসনাতের ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে কিছু ছবি ও স্ক্রিনশটও পোস্ট করেন। যদিও তদন্তে দেখা যায়, ওই তথাকথিত ছাত্রলীগের প্যাড ভুয়া। এর আগেও একই ধরনের ভুয়া প্যাডে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল।
রুমিন ফারহানার পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। কেউ তার মন্তব্যকে অশালীন উল্লেখ করে সমালোচনা করেন, আবার কেউ এতে সমর্থনও জানাচ্ছেন।
এর আগের দিন এনসিপি নেতাকর্মীদের হামলার প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, তিনি একজন নারী হিসেবে শুনানিতে প্রথমে ধাক্কা খেয়েছেন। তার লোকজন প্রতিক্রিয়া দেখানোটা স্বাভাবিক ছিল, তবে বিষয়টি অতিরঞ্জিত করার কিছু নেই।
বর্তমানে রুমিন ও হাসনাত-দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। তাদের এই ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কটূ ভাষার ব্যবহার রাজনীতির শালীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।




























