
আওয়ার টাইমস নিউজ।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে আবারও চমক পাওয়া গেছে। প্রায় সাড়ে চার মাস পর শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এসময় গণনা শেষে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
দানবাক্সের সঙ্গে এবারও মিলেছে অসংখ্য চিরকুট। অনেকেই নিজেদের মনোবাসনা পূরণের আশায় দানবাক্সে টাকা বা স্বর্ণের সঙ্গে এসব চিরকুট ফেলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু চিরকুটে ব্যক্তিগত প্রার্থনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, এমনকি রাজনৈতিক ক্ষোভেরও প্রকাশ দেখা গেছে।
একটি চিরকুটে নামপরিচয়হীন একজন লিখেছেন—
“হে আল্লাহ, আমাকে বাঁচিয়ে রেখো যতদিন না আমি ডাইনি হাসিনার কর্মফল দেখি। অনেক আলেমকে কষ্ট দিয়েছে, আমার প্রিয় সাঈদীকে অত্যাচার করেছে। হে আল্লাহ, বাংলাদেশে একজন ওমর (রা.)-এর মতো শাসক দাও।”
অন্য একটি চিরকুটে এক নারী লিখেছেন—
“হে আল্লাহ, আমার স্বামী মো. জসিমকে পাগলা মসজিদের ওসিলাতে একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিন। তাকে হেফাজত করুন এবং আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করুন।”
এক শিক্ষার্থী তার চিরকুটে লিখেছে—
“হে আল্লাহ, আমাকে ভালো নম্বর দিন, যেন একটি ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যাক। মা-বাবাকে সুস্থ রাখুন।”
অন্য একটি চিরকুটে প্রার্থনা ছিল ব্যক্তিগত জীবনের—
“আল্লাহ, নাজমুলকে সারা জীবনের জন্য আমার করে দিন। তাকে আমার জামাই হিসেবে কবুল করুন।”
এবারের দানবাক্স খোলার কাজে প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা সময় লেগেছে। ৫০০ জনের একটি টিম টাকা গণনা সম্পন্ন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান মারুফ এবং রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী হারেছী।




























