
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শ্রমিক অধিকার ও সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করার দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীরা একাধিক শহরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৫০টি অঙ্গরাজ্যে এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘ধনকুবেরের চেয়ে শ্রমিক গুরুত্বপূর্ণ’ শ্লোগান ও ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। তারা দাবি করেছেন, শ্রমিকদের সুরক্ষা জোরদার করতে হবে, স্কুলগুলোকে পুরোপুরি অর্থায়ন করতে হবে, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি তারা করপোরেট দুর্নীতি, প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানায় এবং তাঁকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দেয়। আন্দোলনের সময় কিছু বাদক দল বাদ্যযন্ত্র বাজান। শ্রমিকরা জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত মজুরি এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
‘ওয়ান ফেয়ার ওয়েজ’ নামের শ্রমিক অধিকার সংগঠনের সদস্য জিওভান্নি উরিবে বলেন, “নিউইয়র্ক নগরের পরিষেবা খাতের কর্মীরাই এই শহরের মেরুদণ্ড। আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, যারা কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি না দিয়ে ন্যূনতমেরও কম পারিশ্রমিক চালু রাখতে চায়। আমরা শুধু বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু দরকার, সেটুকু মজুরি চাই।
যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় ৭.২৫ ডলার, যা ২০০৯ সালের পর থেকে বৃদ্ধি পায়নি। ওয়েটার বা টিপ-নির্ভর সেবাকর্মীদের জন্য নির্ধারিত ‘ন্যূনতমেরও নিচের’ মজুরি মাত্র ২.১৩ ডলার, যা শেষবার ১৯৯১ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, এই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ন্যূনতম ৭.২৫ ডলার করতে হবে। তবে অধিকারকর্মীরা জানান, শ্রমিকরা প্রায়ই এভাবে মজুরি থেকে বঞ্চিত হন।
শিকাগোতে বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, “শিকাগো কেন্দ্রীয় সরকারের অনধিকার চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।” আন্দোলনকারীরা শিকাগোর নীল ডোরা কাটা পতাকা উড়ান এবং তাদের প্রগাঢ় করতালি পেয়ে মেয়র বলেন, “এই শহরই দেশকে রক্ষা করবে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসির মতো ডেমোক্র্যাট শাসিত শহরগুলোতেও ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে। এই বিক্ষোভগুলোতে লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন এবং তারা শ্রমিকদের অধিকার ও সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করার দাবিতে একত্রীকৃত হয়েছে।
Sources: Al Jazeera




























