
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলাম ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই ফিলিস্তিনি নারীরা ধার্মিকতা সুস্থ জীবনধারা এবং কুরআন তিলাওয়াতের নিখুঁত দক্ষতার জন্য বিশ্বব্যাপী বেশ পরিচিত। শত বছরের কাছাকাছি বয়সেও তারা চশমা ছাড়া বিশুদ্ধভাবে কুরআন দেখতে এবং পড়তে সক্ষম, যা বিশেষজ্ঞদের কাছে বিস্ময়ের বিষয়।
তাদের এই অসাধারণ ক্ষমতার রহস্য মূলত শৈশব থেকেই আয়ত্ত করা জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত। ফিলিস্তিনি নারীরা ছোটবেলা থেকেই পর্দা করে চোখের সুরক্ষা বজায় রাখে, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে নিজেদের রক্ষা করে। এর ফলে মানসিক প্রশান্তি বজায় থাকে এবং চোখের স্বাভাবিক জ্যোতি দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
তাদের খাদ্যাভ্যাসও বিশেষভাবে স্বাস্থ্যকর। তারা নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করে এবং ফরমালিনমুক্ত ফল ও সুষম খাবার খায়, যেমন কমলা, খেজুর, তরমুজ। এই খাদ্যাভ্যাস দেহকে বিষমুক্ত রাখে, পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে।
দৈনন্দিন জীবনধারায় ফিলিস্তিনি নারীরা নিয়মিত তান্ত্রিক জীবনযাপন করে। তারা সকালে নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াত, দিনের মধ্যে হালকা শারীরিক কাজ এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য ধ্যান বা ইবাদত পালন করে। রাতে যথাযথ বিশ্রাম এবং স্বাস্থ্যকর ঘুম তাদের শরীর ও মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধারাবাহিক জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের সমন্বয়ই তাদের চোখের জ্যোতি ও সুস্থতা ধরে রাখে, যা শতবয়সেও কুরআন তেলাওয়াতের সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ফিলিস্তিনি নারীদের এই জীবনধারা প্রমাণ করে যে শারীরিক সুস্থতা ও আধ্যাত্মিক চেতনা পরস্পরের পরিপূরক। সুষম জীবনধারা ও নিয়মিত ধর্মীয় অনুশীলন মানসিক শান্তি, সুস্থ দেহ ও দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে পারে।































