
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলামী ডেস্ক: চন্দ্রগ্রহণ কেবল একটি প্রাকৃতিক ঘটনা নয়। এটি আল্লাহ তাআলার অনন্ত শক্তি, মহিমা এবং সৃষ্টির নিখুঁত নিয়ন্ত্রণের দ্যুতি প্রদর্শনের সময়। আকাশ ও পৃথিবীর নিদর্শন আমাদের স্মরণ করায় যে, সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী ঘটে। চন্দ্রগ্রহণের সময় আল্লাহ আমাদেরকে তার মহিমা উপলব্ধি করতে এবং তার কাছে দোয়া ও তাওবার মাধ্যমে আত্মিক উন্নতি অর্জনের সুযোগ দিচ্ছেন।
চন্দ্রগ্রহণের সময় করণীয় আমল:
১. নামাজ পড়া:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
> عن عبد الله بن عباس رضي الله عنهما قال: خرج النبي ﷺ للخسوف فقال: “صلوا كما رأيتموني أصلي”
(সাহিহ মুসলিম)
অর্থ: নবী মুহাম্মদ (সঃ) চন্দ্রগ্রহণের সময় বের হয়ে নামাজ পড়েছেন এবং বলেছেন, “যেভাবে তুমি আমাকে নামাজ পড়তে দেখেছ, তোমারাও সেইভাবে পড়ো।”
অর্থাৎ, চন্দ্রগ্রহণের সময় দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।
২. দোয়া ও তাওবা:
হাদিসে বলা হয়েছে যে, চন্দ্রগ্রহণের সময় আল্লাহর কাছে দোয়া, তাওবা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বিশেষ ফলদায়ক। নবী (সঃ) তাওবার নির্দেশ দিয়ে নামাজ পড়তেন।
সাধারণ দোয়া হতে পারে:
> “اللهم إني أسألك التوبة والغفران”
(হে আল্লাহ, আমি তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি)
৩. আল্লাহর স্মরণ এবং কুরআন পাঠ:
চন্দ্রগ্রহণ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আকাশ ও পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতে। তিনি আমাদেরকে দেখাতে চাচ্ছেন যে, আমরা তার সৃষ্টি ও ক্ষমতার সামান্য অংশ মাত্র। কোরআনে উল্লেখ আছে:
> وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لآيَاتٍ لِلْعَالِمِينَ
(সূরা রুম, আয়াত 22)
অর্থ: “তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি, তোমাদের ভাষা ও রঙের বৈচিত্র্য। এই সব নিদর্শনে জ্ঞানের অধিকারীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।”
বিশেষ নির্দেশনা:
চন্দ্রগ্রহণের সময় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই; এটি আল্লাহর শক্তি ও নিয়ন্ত্রণের নিদর্শন।
নামাজ বা দোয়া করতে হলে খোলা আকাশে বা মসজিদে বসা উত্তম।
শিশুদেরও সঙ্গে নিয়ে দেখানো যেতে পারে, যাতে তারা আল্লাহর মহিমা উপলব্ধি করে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় এই আমল ও দোয়া আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে। এটি আমাদের আত্মিক উন্নয়নের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ, যেখানে আমরা তার ক্ষমতা, রহমত এবং সৃষ্টির নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ উপলব্ধি করতে পারি।






























