
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা ভোট বর্জন করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাড়ে তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
উমামা ফাতেমার স্ট্যাটাসে লেখা ছিল, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ অসততার নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।
এর এক ঘণ্টা আগে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেছেন?” রাত ২টা ৩০ মিনিটে পোস্টটি দেওয়ার সময় ডাকসুর পাঁচটি হলের ফল মাত্র ঘোষণা করা হয়। তখন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ৭০৭৬ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১৭৮৯ ভোট, আর উমামার ভোট ছিল ১৩১৬।
রাতের মধ্যে পোস্টে মাত্র এক ঘণ্টায় সাড়ে তিন হাজার রিঅ্যাকশন এবং ৮০০-এর বেশি মন্তব্য আসে। পরবর্তী সময়ে ভোর ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১৫ হাজার রিঅ্যাকশন এবং ১,৯০০ মন্তব্য রেকর্ড হয়। সেই সময় পর্যন্ত উমামার ভোট ছিল ২,১০০।
অন্যদিকে, ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পৃথক পোস্টে লিখেছেন, “পরিকল্পিত অসততার এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।
রাত পৌনে দুইটা থেকে হলগুলোতে ধাপে ধাপে ফল ঘোষণা শুরু হয়। দীর্ঘ ছয় বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী ছিলেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
মোট ভোটার ছিলেন ৩৯,৭৭৫ জন, যার মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০,৮৭৩ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮,৯০২। নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।




























