
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ আরও এক ধাক্কা দিয়েছে, সশস্ত্র অভিযান ও বোমাবর্ষণের জেরে একদিনে অন্তত ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে কমপক্ষে ১৬টি ভবন, যার মধ্যে তিনটি আবাসিক ব্লক রয়েছে; একই সঙ্গে তীব্র গোলাবর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চলের শহর দখল ও স্থানীয়দের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বাড়ছে।
গাজার স্বাস্থ্যবিভাগ ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানানো হচ্ছে, নিহতদের মধ্যে বড় সংখ্যা গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় concentrated; উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ উদ্ধারে তৎপর আছেন। সরকারি দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমান ও ড্রোন হামলায় বিশেষ করে স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকার ওপর আঘাত করা হয়েছে; এতে বহু পরিবার বসবাসহীন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বোমাবর্ষণের ফলে অনেক লোক নিরাপদ মনে করে দক্ষিণের আল-মাওয়াসি ও আশপাশের এলাকায় পালিয়েছে, কিন্তু সেখানে পানীয়জল, টয়লেট বা আশ্রয়ের কোনো সুব্যবস্থা নেই, পারিবারিকভাবে হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। গাজার শরণার্থী ও মানবকল্যাণ সংস্থা সতর্ক করেছে, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ ব্যাহত থাকায় অপুষ্টিজনিত রোগ ও প্রাণহানির মাত্রা দ্রুত বাড়ছে। গত কয়েক দিনে পুষ্টিহীনতায় অতিরিক্ত মৃত্যুও নিবন্ধিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলা পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করছে; স্কুল, ক্লিনিক ও সহায়তা সংস্থার অফিসও আঘাতের মুখে পড়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষক নিশ্চিত করেছেন যে গাজার কোথাও নিরাপত্তার আশ্রয় নেই এবং দ্রুত মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা জোরালো।
ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় নাগরিকেরা বলছে, তারা আর কোথায় যাবে জানে না; বার বার বাস্তুচ্যুত হয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে এবং প্রতিবারই পানির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য, ঔষধ ও আশ্রয়ের তীব্র সংকটে পড়তে হচ্ছে। মানবিক সংগঠনগুলো ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে উদ্বেগের কণ্ঠ তীব্র হচ্ছে, তবে মাঠে তৎকালীন সুরক্ষা ও সহায়তা জোরদার না হলে গাজার সিভিল জনজীবন আরও দ্রুত অবনতি হবে বলে সতর্ক করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা, স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স ও স্বাস্থ্য সূত্র, ইউএনআরডব্লিউএ।




























