
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: বর্তমান সময়ে উচ্চ কোলেস্টেরল শুধু বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তরুণরাও দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ভাজাভুজি, তেল-মসলাদার খাবার, ধূমপান-মদ্যপান এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব কোলেস্টেরল বাড়ানোর মূল কারণ। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে মাত্র ৩০ দিনে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
১. সুষম খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিন
ওটস ও গোটা শস্য: প্রতিদিন সকালে ওটস খেলে সলিউবল ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ফলমূল: তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা ও পেঁপে নিয়মিত খেলে হার্ট সুস্থ থাকে।
বাদাম ও আখরোট: দৈনিক এক মুঠো বাদাম বা আখরোট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বৃদ্ধি পায়।
সবুজ শাকসবজি: ব্রোকলি, পালং শাক, গাজর ইত্যাদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
মাছ ও স্বাস্থ্যকর তেল: সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন মাছ খান এবং মাখনের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
২. ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
ধূমপান কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
তাই ধুমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন ৪৫ মিনিট brisk হাঁটা, হালকা ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে ধ্যানের জন্য ১০-১৫ মিনিট বরাদ্দ রাখলেও মানসিক চাপ কমে এবং হার্ট সুস্থ থাকে।
৪. মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। নিয়মিত ধ্যান, যোগব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৫. সহায়ক পানীয় ও উপাদান
সবুজ চা ও হিবিস্কাস চা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ চা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার: দিনে এক টেবিল চামচ পানিতে মিশিয়ে খেলে LDL নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দারুচিনি: দৈনিক ১-২ গ্রাম দারুচিনি খেলে কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব।
সরাসরি জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনলে মাত্র ৩০ দিনে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। সুষম আহার, ধূমপান-মদ্যপান ত্যাগ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাই হলো কার্যকর ঘরোয়া সমাধান।
সূত্র: বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও মেডিকেল ওয়েবসাইট