
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: গরমের দিনে এসি আমাদের স্বস্তি দেয়, কিন্তু ভুল ব্যবহার বা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এটি ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে, কম মানের সার্কিট, পুরনো যন্ত্রাংশ এবং ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করা এসি বিস্ফোরণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসি বিস্ফোরণের সাধারণ কারণ:
ভুল বৈদ্যুতিক সংযোগ: কমমানের কেবল বা সার্কিট ব্রেকার শর্টসার্কিটের ঝুঁকি বাড়ায়।
কনডেনসারে ময়লা বা ধূলা জমা: তাপমাত্রা ও চাপ বেড়ে কম্প্রেসার ব্লাস্ট করতে পারে।
রেফ্রিজারেন্ট (গ্যাস) সমস্যা: অতিরিক্ত বা কম গ্যাস ভেতরে চাপ তৈরি করে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ভ্যাকুয়াম ঠিকমতো না করা: নতুন গ্যাস চার্জের সময় বাতাস বা আর্দ্রতা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
পাইপ ব্লক বা সঠিক স্পেস না রাখা: গ্যাস আটকে গিয়ে চাপ তৈরি হয় এবং আউটডোর ইউনিটে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল না হলে বিপদ বেড়ে যায়।
কমমানের বা নকল যন্ত্রাংশ ব্যবহার: নিরাপত্তা স্ট্যান্ডার্ডে ঘাটতি থাকলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বাড়ে।
নিরাপত্তার জন্য করণীয় পদক্ষেপ;
রক্ষণাবেক্ষণ:
প্রতি ৩–৬ মাস অন্তর পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে সার্ভিস করান।
কনডেনসার ও ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ চালু করার আগে পরীক্ষা করান।
বৈদ্যুতিক সেফটি:
উপযুক্ত রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ও ক্যাবল ব্যবহার করুন।
একাধিক উচ্চ ক্ষমতার যন্ত্র একই সার্কিটে সংযুক্ত করবেন না।
রেফ্রিজারেন্ট এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ:
গ্যাস যথাযথ মাত্রায় আছে কি না নিশ্চিত করুন।
নতুন গ্যাস চার্জের আগে ভ্যাকুয়াম সঠিকভাবে নিন।
বিশ্বস্ত টেকনিশিয়ান ছাড়া গ্যাস চার্জ করাবেন না।
ইনস্টলেশন ও স্থান:
আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখুন যেখানে গরম হাওয়া সহজে বের হতে পারে।
একাধিক এসি পাশাপাশি বসানো এড়ান।
পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন, যেমন ১ টনের এসির জন্য ১৫০ স্কয়ার ফিট।
সতর্কতা:
অস্বাভাবিক শব্দ, গন্ধ বা কাঁপুনি এলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করুন।
রান্নার ধোঁয়া বা অন্যান্য তাপ উৎসের কাছাকাছি চালু রাখবেন না।
নিয়মিত বাতাস চলাচলের স্থান পরিস্কার রাখুন।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা, মানসম্মত যন্ত্রাংশ এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ মেনে চললেই এসি বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এই ছোট ছোট টিপসগুলো ঘরে বসেই পালন করলে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।




























