
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য শামীম আহমেদ। মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী মনিরা আক্তারকে বলেন, “আমার সন্তানদের দেখে রেখো, আমি বাঁচব না, আর আমাকে মাফ করে দিও।”
স্ত্রী মনিরা জানান, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আইসিইউতে শামীমের সঙ্গে শেষবার কথা হয়। বিকেল ৩টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মনিরা তিন সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বড় ছেলে নাবিল (১২) মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, মেয়ে হুমাইরা (৮) দ্বিতীয় শ্রেণিতে, আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র পাঁচ বছর।
শামীমের মা রাজ বানুও ছেলের শেষ কথার স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, “আইসিইউতে গিয়েছিলাম, শামীম বলল— মা আইছো, আমি আর বাঁচমু না।”
শামীম আহমেদ নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার রায়পুর পাইজাহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে শামীমসহ চারজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শামীমের শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বর্তমানে নুরুল হুদা ও খন্দকার জান্নাতুল নাঈম আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকার কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহযোগিতার আশ্বাস দেন।




























