
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজায় অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা বহনকারী জাহাজবহর সুমুদ ফ্লোটিলা আটক করেছে। বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ছয়টি নৌকা দখল করা হয় এবং শতাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফ্লোটিলা প্রতীকী পরিমাণ খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সামগ্রী বহন করলেও এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় দীর্ঘদিনের অবরোধ ভেঙে একটি মানবিক করিডর গড়ে তোলা। কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজে ওঠার আগে ইচ্ছাকৃতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেয়, যাতে জরুরি সংকেত পাঠানো বা লাইভ সম্প্রচার সম্ভব না হয়।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জানিয়েছেন, আটক কর্মীদের ইহুদি ধর্মীয় উৎসব ইয়ম কিপুর শেষে বহিষ্কার করা হবে। তবে উৎসব চলাকালীন আদালত ও কারাগার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা বর্তমানে আইনি অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
এমন অভিযান নতুন নয়। ২০১০ সালে মারভি মারমারা জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ১০ কর্মী নিহত হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা কুড়িয়েছিল। এরপর থেকে একাধিকবার ফ্লোটিলা আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জুনে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীরা থাকা “মাদলিন” জাহাজও আটক করেছিল ইসরায়েল।
বর্তমান সুমুদ ফ্লোটিলা আগস্টের শেষ দিকে স্পেন ও ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে, পথে গ্রিস ও তিউনিসিয়ায় থামে। শুরুতে ৫০টিরও বেশি নৌকা ও ৪৪টি দেশের শতাধিক কর্মী এতে অংশ নিলেও ড্রোন হামলা ও সমুদ্র আক্রমণের কারণে কিছু জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪৪টি জাহাজ গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রাখে।
আন্তর্জাতিক মহল এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে গাজার জন্য মানবিক সহায়তার করিডর খোলার প্রচেষ্টা আবারও ব্যর্থ হলো।
সূত্র: আল জাজিরা





























