
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, এখন থেকে সৌদিতে যে কোনো বৈধ ভিসাধারী ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ই-ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট, বা কর্মসংস্থান ভিসা, ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় এসেছে এবং মুসলিম বিশ্বে স্বাগত জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছে যাতে ওমরাহ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায়, এবং যাতে পুরো বিশ্বের মুসলমানরা ধর্মপর্যটনে আরও অংশ নিতে সক্ষম হয়। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ভিসা প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল মাধ্যমে আরও কার্যকর করা হবে এবং নুসুক নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হবে।
নুসুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা এখন অনলাইনে আবেদন করতে, পারমিট পেতে, আবাসন ও পরিবহন বুকিং করতে এবং ওমরাহ পরিকল্পনা করার সুবিধা পাবেন। বিশেষভাবে, মন্ত্রণালয় বলেছে, এই পদক্ষেপ সৌদির ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার অংশ, যেখানে ধর্ম পর্যটনকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
আগে এমন নিয়ম ছিল যে ওমরাহ ভিসা পেতে হলে আবাসন ও পরিবহন আগে থেকেই নিশ্চিত হতে হবে। কিন্তু নতুন ঘোষণার পর এই বাধা দূর হয়েছে, যদিও আবাসন ও পরিবহনের বুকিং এখনো কার্যকর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে থাকতে পারে।
এই পরিবর্তন সৌদির দিকে এক বড় দৃষ্টি পরিবর্তন নির্দেশ করে, ধর্মীয় পর্যটনকে আরও উন্মুক্ত ও সবধরণের মসজিদভ্রমণকারীদের জন্য সহজ করা। মুসলিম বিশ্বে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কিছু প্রশ্নও রয়েছে: নতুন প্রক্রিয়া বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে এবং কত দ্রুত বৈধভাবে সব আবেদনকারীকে সুযোগ দেওয়া যাবে? বিশেষ করে যারা তথ্যপ্রযুক্তিতে সীমাবদ্ধ বা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমর্থ নয়, তাদের জন্য পদ্ধতির জটিলতা কি নতুন বাধা তৈরি করবে?
সৌদির এই নতুন সিদ্ধান্তে ওমরাহ খাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে পারে, এবং এটা আন্তর্জাতিক ধর্ম পর্যটনে সৌদির ভূমিকা আরও দৃঢ় করতে পারে। একই সঙ্গে এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, ধর্মীয় ভ্রমণকে আরও জনমুখী করার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশগুলোকে অনুপ্রাণিত করার।
সূত্র: Gulf News



























