
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: ড্রাগন ফল শুধু রঙিন ও রসালো স্বাদের জন্যই নয়, এর খোসাতেও লুকিয়ে আছে ত্বক ও চুলের জন্য অমূল্য পুষ্টি ও সৌন্দর্যগুণ। অনেকেই ফল খেয়ে খোসা ফেলে দেন, কিন্তু গবেষণা বলছে, এই খোসাই হতে পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক গোপন উপাদান।
ত্বকের জন্য উপকারিতা ও ব্যবহার
১. ব্রণ ও দাগ কমায়:
খোসায় থাকা ভিটামিন সি ও পলিফেনল ত্বকের ব্যাকটেরিয়া নাশ করে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং দাগ হালকা করতে কার্যকর।
২. ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ফলে ত্বক মসৃণ ও প্রাণবন্ত থাকে।
৩. রোদে পোড়া ত্বক ও প্রদাহে আরাম:
খোসার প্রাকৃতিক উপাদান সূর্যের আলোতে পোড়া ত্বককে শান্ত করে এবং প্রদাহ কমায়।
ব্যবহার পদ্ধতি:
খোসা ভালোভাবে ধুয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন।
এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান।
১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
এছাড়া খোসা সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করাও যেতে পারে।
চুলের জন্য উপকারিতা ও ব্যবহার
১. চুল পড়া কমায় ও গোড়া মজবুত করে:
খোসার আয়রন ও ভিটামিন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলিকল সক্রিয় করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
২. চুল উজ্জ্বল ও নরম করে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক তেল চুলের রুক্ষতা কমায় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে।
৩. খুশকি দূর করে:
এটি চুলের ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং খুশকির জীবাণু ধ্বংস করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
খোসা পেস্ট করে এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান।
৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন।
খোসা সেদ্ধ করে ছেঁকে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলেও চুল নরম, উজ্জ্বল ও খুশকি মুক্ত হবে।
সতর্কতা
নতুন উপাদান ব্যবহারের আগে অল্প অংশে পরীক্ষা করুন। অতিসংবেদনশীল ত্বক বা স্ক্যাল্পের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দেওয়া কোনো বর্জ্য নয়। এটি ত্বক ও চুলের জন্য এক প্রাকৃতিক, নিরাপদ ও কার্যকর উপাদান। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও টানটান, চুল ঘন ও প্রাণবন্ত। এটি প্রমাণ করে, প্রকৃতির ছোট্ট এই উপাদানটিতেই লুকিয়ে আছে সৌন্দর্যের গোপন রহস্য।





























