
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থান লক্ষ্য করে বড় পরিসরের বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে ‘অপারেশন হকআই স্ট্রাইক’ নামে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রাচীন শহর পালমিরা এলাকায় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অভিযানের মূল লক্ষ্য হিসেবে আইএসের যোদ্ধা, ঘাঁটি, অস্ত্রভাণ্ডার এবং লজিস্টিক অবকাঠামো ধ্বংস করার কথা জানানো হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট করেন, এটি কোনো নতুন যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার জবাবে নেওয়া প্রতিরক্ষামূলক ও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, সিরিয়ার দেইর ইজ-জোর, রাক্কা ও হোমস প্রদেশের বিস্তীর্ণ মরুভূমি এলাকায় আইএসের একাধিক অবস্থান লক্ষ্য করে একযোগে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব এলাকায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি এখনো বিচ্ছিন্ন ঘাঁটি ও নেটওয়ার্ক ধরে রেখেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, দেইর ইজ-জোরের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল এবং রাক্কার মাদান শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দেইর ইজ-জোর মরুভূমিতে অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যা দক্ষিণ হাসাকার আল-শাদ্দাদি এলাকায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক জোটের একটি ঘাঁটি থেকে নিক্ষেপ করা হয়।
এক মার্কিন কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই বিমান অভিযান কয়েক ঘণ্টা ধরে চলতে পারে এবং প্রয়োজনে আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, পালমিরায় আইএসের সাম্প্রতিক হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সিরিয়ায় আইএস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অঙ্গীকার বহাল রাখার ঘোষণা দেন।
সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর



























