
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীত মৌসুম শুরু হলেই অনেকের মাথার ত্বকে খুশকির সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। শুষ্ক আবহাওয়া, ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং স্ক্যাল্পে মৃত কোষ জমে থাকার কারণে এ সময় চুলে সাদা খোসার মতো খুশকি দেখা দেয়। শুধু শীতকালেই নয়, কেউ কেউ সারা বছরই এই সমস্যায় ভোগেন। নানা ধরনের কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করেও অনেক ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান মেলে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খুশকির মূল কারণ যদি হয় মাথার ত্বকে ময়লা, ঘাম ও মৃত কোষ জমে থাকা, তাহলে শুধু শ্যাম্পু করলেই সমস্যার সমাধান হয় না। বরং স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা এবং প্রাকৃতিক উপায়ে যত্ন নিলেই খুশকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
টক দইয়ের ব্যবহার
টক দই মাথার ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা উপাদান মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে এবং স্ক্যাল্পকে নরম রাখে। মাথার ত্বকে টক দই ভালোভাবে লাগিয়ে প্রায় ২০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুশকির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে পারে।
লেবুর খোসার পানি
লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিসেপটিক গুণ খুশকি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কয়েকটি লেবুর খোসা পানিতে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই পানি মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে। আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ভিনেগারের ভূমিকা
ভিনেগার মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা খুশকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ। শ্যাম্পু করার পর এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভিনেগার মিশিয়ে শেষবার চুল ধুয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে পরিমাণ বেশি হলে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
অতিরিক্ত যত্নে যা করবেন
শীতে খুশকি কমাতে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। খুব গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানিতে চুল ধোয়া ভালো। মাথায় অতিরিক্ত ঘাম জমলে দেরি না করে পরিষ্কার করা উচিত, কারণ ঘাম ও ময়লা জমে থাকলে খুশকি আরও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এসব ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে শীতকালেও খুশকির সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কেমিক্যালনির্ভর পণ্য ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়েই সুস্থ, পরিষ্কার ও ঝরঝরে চুল পাওয়া যেতে পারে।





























