
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি দলীয় সমীকরণ ও মাঠপর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিনটি আসনে নির্বাচন করার কথা থাকলেও, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সব আসনে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। বগুড়া, দিনাজপুর ও ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, যা আজ জমা দেওয়ার কথা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি অন্তত ১৫টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মাঠপর্যায়ের জরিপ, জনমত ও রাজনৈতিক সমীকরণ বিবেচনায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। খালেদা জিয়ার তিনটি আসনে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে, যাতে কোনো কারণে তিনি মনোনয়ন দিতে না পারলে বিকল্প প্রার্থী এগিয়ে আসতে পারেন।
ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া) আসনে
খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম (মজনু)। বগুড়া-৭ আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ আলম এবং দিনাজপুর-৩ আসনে সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনা পেলে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
প্রার্থী পরিবর্তনের বিশদ বিবরণ
বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে।
ঢাকা-১৭: পূর্বে বিএনপি জোটের প্রার্থী ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ। এখন তিনি ভোলা সদর আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন।
ঢাকা-১২: সাইফুল আলম নীরবকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল, পরে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১৪: ফাঁকা রাখা হয়েছিল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুকের জন্য। বর্তমানে এটি জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুক্ত।
নারায়ণগঞ্জ-৫: ব্যবসায়ী মো. মাসুদুজ্জামান অনীহা প্রকাশের পর সাবেক মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কালামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বাদ দিয়ে গোলাম আকবর খন্দকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১ থেকে চট্টগ্রাম-১০: স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাঈদ আল নোমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, মুন্সিগঞ্জ-২, মুন্সিগঞ্জ-৩: প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের পরিবর্তে কবির আহমেদ ভূঁইয়া মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঝিনাইদহ-১: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনোনয়ন পেয়েছেন।
নড়াইল-২: জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের পরিবর্তে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
যশোর-১, ৫, ৬: যথাক্রমে নুরুজ্জামান লিটন, মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস ও আবুল হোসেন আজাদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
মাদারীপুর-১: নাদিরা আক্তারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি দুই ধাপে ২৭২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মিত্র ও শরিকদের জন্য আরও ১৫টি আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আমার জানা অনুযায়ী, সব ৩০০ আসনের মনোনয়নই চূড়ান্ত। প্রতিদিন একজন বা দুজন করে মনোনয়ন দেওয়ার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই সব তথ্য নিশ্চিত হবে।


























