
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা থাকলেও অনেক বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না, আর যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে, দাম বেশি রাখা হচ্ছে। রমজান শুরু হতে আর এক মাস বাকি, তাই বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন ও সয়াবিন বীজ আমদানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেশি। এছাড়া, আরও ৪.২১ লাখ টন তেল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। তারপরও কেন তেলের বাজার অস্থিতিশীল?
এ নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বৈঠকে ব্যবসায়ীরা আবারও সয়াবিন ও পামতেলের দাম বাড়ানোর দাবি জানান। তবে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, রমজানের আগে কোনোভাবেই দাম বাড়ানো হবে না।
বাণিজ্য সচিব আবদুর রহিম খান বলেন, “পরিসংখ্যান বলছে দেশে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে, তাহলে সংকট কোথায়? কেউ অবৈধভাবে তেল মজুত করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
সরকার ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, প্রতি বছরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানের আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে।
রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আলী ভুট্টো বলেন, “বাজারে সরবরাহ কম, তবে মিলাররা বলছে, ১৫-২০ দিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
ভোজ্যতেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা দাবি করেছেন, “প্রতিদিন বাজারে চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করা হচ্ছে, যা মনিটরিং সেলকে জানানো হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর শতভাগ অব্যাহতি দিয়েছে এবং ভ্যাট ১৫% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে এবং অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।