১৫ই এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
চাকরি বাঁচাতেই কি ভয়ংকর সিন্ডিকেটের কথায় উঠ বস করে কোচ ক্যাবরেরা? অবশেষে থলের বিড়াল বের হলো!
ঋণ দেওয়া টাকার উপর যাকাত আদায় করা কি বাধ্যতামূলক?
ধ্বংসস্তূপের নিচে এক মায়ের কান্না: গাজার বুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অলৌকিক জীবনরক্ষা
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফানের নেতৃত্বে আনসার ও ভিডিপির ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত
ঈদ কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ইসলাম অবমাননার দায়ে প্রথম আলোকে ক্ষমা চাইতে হবেঃ জামায়াত আমীর
আপনি জানেন কি? মোবাইল ইন্টারনেটের অপব্যবহার আপনার কলিজার টুকরো সন্তানের মস্তিষ্ককে কিভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে! বাঁচতে হলে জানতেই হবে..
আবারও গাজায় ‘ই/স/রাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত
রমনার বটমূল থেকে শেষ হলো বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে ত্রিমুখী বিভক্তি, ঐক্যের পথ অনিশ্চিত
পহেলা বৈশাখ উদযাপন: রমনার বটমূলে এক নতুন যুগের সূচনা

বাংলাদেশ কাঁপলো গাজার জন্য—‘মার্চ ফর গাজা’তে লাখো কণ্ঠে ইস/রা/য়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫—বাংলাদেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হলো এক হৃদয়স্পর্শী গণআন্দোলন ‘মার্চ ফর গাজা’। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হন।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্মম হামলা, শিশু হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করা। দেশের বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন এ কর্মসূচিতে একযোগে অংশ নেয়।

বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ও আলেম সমাজ এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে জনগণকে বিক্ষোভে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন। ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হন, যারা ফিলিস্তিনের পতাকা, ব্যানার ও প্রতিবাদী পোস্টার হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক তরুণ বলছিলেন, “আমরা আজ গাজার শিশুদের কান্না বহন করতে এসেছি। বিশ্ব চুপ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা না।”

এদিকে জামালপুর থেকে ঢাকায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার পথে একটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। তবে সারাদেশের অন্যান্য কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল সরব এবং সজাগ।

আন্দোলনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, ‘মার্চ ফর গাজা’ কোনো একদিনের ঘটনা নয়—এটি একটি চলমান প্রতিবাদ, যা ভবিষ্যতেও আরও বড় আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস পালনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

এই কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষ যে মানবতা, ন্যায়বিচার ও নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর চেতনায় বিশ্বাস রাখে—তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ‘মার্চ ফর গাজা’ প্রমাণ করে দিয়েছে, দূরের দেশ হলেও ফিলিস্তিনিরা একা নয়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত