
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘পূর্বপরিকল্পিত প্রচারণা’ বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
টিআরএফ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, হামলার দায় স্বীকার করে যে পোস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, সেটি তাদের নিয়ন্ত্রিত নয়। বরং ‘রাষ্ট্র-সমর্থিত সাইবার আক্রমণের’ মাধ্যমে ওই পোস্ট ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। সংগঠনটির দাবি, অভ্যন্তরীণ তদন্তে এর প্রমাণও মিলেছে।
তাদের মতে, ভারতীয় সাইবার গোয়েন্দারা কাশ্মীরের প্রতিরোধ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা আড়াল করতে এমন মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। টিআরএফ আরও বলেছে, অতীতেও কাশ্মীরি প্রতিরোধ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছিল।
২০১৯ সালে গঠিত টিআরএফ নিজেদের কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ’ হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা সাধারণত টেলিগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য প্রচার করে। যদিও বিভিন্ন বিশ্লেষকের ধারণা, সংগঠনটির পেছনে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তইয়েবা গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে টিআরএফ নিজেদের প্রচারে ধর্মীয় ভাষার বদলে ‘প্রতিরোধ’-ভিত্তিক ভাষা ব্যবহার করে।
সংগঠনটি কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ছোট ছোট সশস্ত্র হামলা ও টার্গেট কিলিংয়ে জড়িত থাকার দাবি করে। টিআরএফ-এর ভাষ্য, তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য কাশ্মীরকে ভারতের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ভারত সরকার টিআরএফ-কে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে।