
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: প্লট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মুহাম্মদ মইনুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আসামিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন, সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের নোটিশ জারি করে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রায়ে বলা হয়, মামলার প্রধান আসামি শেখ রেহানাকে সাত বছর, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছর এবং তৃতীয় আসামি শেখ হাসিনাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণা শেষে দুদকের পিপি বলেন, মামলাটি প্রমাণ করা গেলেও প্রত্যাশিত সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, নিজেরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও গরিব দেখিয়ে পূর্বাচল নতুন শহরের ৬টি প্লট নিজেদের নামে বরাদ্দ নিতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যুক্তরাজ্যের এমপি থাকা অবস্থায় টিউলিপ সিদ্দিক বিভিন্ন সময়ে ফোনকল ও অ্যাপসের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করেন, এমন অভিযোগও উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আসামিরা পৃথিবীর যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাদের বিচারের পথে কোনো বাধা থাকবে না।
প্লট দুর্নীতি মামলায় আরও যে সরকারি কর্মকর্তা ও রাজউক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন কারাবন্দি থাকলেও বাকিরা পলাতক আছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ মামলার বিচারকার্য চলাকালে মোট ৩২ জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দেন।
এ বছরের জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন মোট ছয়টি পৃথক মামলা করে। এর মধ্যে চারটির রায় আজ ঘোষণা হলো। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে সাত বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই দিনে আরেক মামলায় তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। দুদক বলছে, সব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।



























