Our Times News
আজারবাইজানকে চাপে ফেলতে ইরানের সাহায্য চায় আর্মেনিয়া; যদিও আজারবাইজান ইরানের কূটনীতির প্রশংসা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক নিউজ উইকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশ বিশ্বাস করে – ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমেরিকা দক্ষিণ ককেশাসের সংঘাত নিরসনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে না।
নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মাঝে বিরোধ চলছে। এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহম্মদ জাভেদ জারিফ আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুক্রবার সংঘাত বন্ধ করতে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। মধ্যস্থতাকারী ৩টি দেশ হচ্ছে – ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক। সংঘাত নিরসনে এ দেশগুলো সহযোগিতা করবে বলে ঐ প্রস্তাবে বলা হয়।
প্রতিবেশী দু দেশের মাঝে সংঘাত নিরসনে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইউরোপস (মিনস্ক গ্রুপ) গঠন করেছিলো ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমেরিকা।
নিউজ উইককে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আর্মেনীয় রাষ্ট্রদূত ভারুজহান নেরসায়ান ইরানের প্রস্তাবটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন: আমরা ১৯৯১ সাল থেকে চলে আসা নাগোর্নো-কারাবাখ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্যে ইরানের ভারসাম্য পদ্ধতি এবং প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেই। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইরান এবং এটি আর্টসাখ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করেছে।
উল্লেখ্য, নাগোর্নো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। সেখানে বসবাসরত জাতিগত আর্মেনীয়রা আলাদা দেশের দাবিতে স্বঘোষিত আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র হিসেবে নিজেদের জানান দেয়; যদিও এখন পর্যন্ত কোনো দেশ এটাকে স্বীকৃতি দেয়নি; এমনকি আর্মেনিয়াও দেয়নি। ঐ অঞ্চলটি পুনরায় দখলের জন্যে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে আজারবাইজান।
তুরস্ক আরেকটি শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ যাদের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবেই আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল। আর্মেনিয়া বাকু ও আঙ্কারার চাপ থেকে মুক্ত হতে তেহরানের ভূমিকা দেখছে।
ঐ সাক্ষাৎকারে আর্মেনীয় রাষ্ট্রদূত ভারুজহান নেরসায়ান বলেন: এ অঞ্চলের আগ্রাসন আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। আমি মনে করি, ইরানের সেই সক্ষমতা রয়েছে – যে কিনা আজারবাইজানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তুরস্ককে নাগোর্নো-কারাবাখে আগুন না জ্বালাতে আহ্বান জানাতে পারে। সূত্র: নিউজ উইক।