Our Times News
এখন পর্যন্ত আজারবাইজানের সাথে যুদ্ধে আর্মেনিয়ার ৭২৯ জন
সেনাবাহিনী নিহত হয়েছেন,অন্যদিকে ইসরাইলের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরান,চলমান এই যুদ্ধে আজারবাইজান কে পুরোপুরি সমর্থন দিচ্ছে ইরান।
গতকাল (সোমবার) এক ঘোষণায় আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলীয়েভ এক টুইটে জানিয়েছেন, আর্মেনিয়ার দখল থেকে নতুন করে জাবরাইল জেলার সোলতানলি, এমিরভারলি, মাশানলি, হাসানলি, আলীকেখানলি, গুমলাগ, হাজিলী, গোয়েরসিভেইসালনি, নিয়াজীগুজলার, খেসেল মেমমেদলি, শাহভেললি, হাজী ইসমাইলি ও ইসাগলি – এ ১৩টি গ্রাম উদ্ধার করেছে আজারি সেনাবাহিনী। কারাবাখ আজারবাইজানের। তাদের (আর্মেনীয়দের) জঘন্য আক্রমণে সেখানে হতাহত হয়েছে। আজারি সেনাবাহিনীর উপযুক্ত পাল্টা জবাবে সেখানকার বসতিগুলো মুক্ত করা হয়েছে। আর্মেনীয় সেনাবাহিনী চরমভাবে মানবিক যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা আজারবাইজানের আবাসিক এলাকা ও সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালিয়েছে।
নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার তুমুল লড়াই চলছে। গতকাল (সোমবার) সেখানকার অস্বীকৃত কর্তৃপক্ষ বলেছে, আজেরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তাদের আরো ১৯ জন সেনা হতাহত হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এ নিয়ে গত মাস থেকে নতুন করে চলা সংঘাতে তাদের ৭২৮ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এদিকে, গতকাল (সোমবার) আজারবাইজানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটিকে মুবারকবাদ জানিয়েছে ইসরাইল। আজেরি প্রধানমন্ত্রী আলী আসাদোবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু লিখেছেন – আজারবাইজানের স্বাধীনতায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রথম দেশগুলোর অন্যতম হতে পেরে ইসরাইল গর্বিত। গত ৩০ বছরে ইসরাইলি ও আজারিদের সত্যিকারের বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দু দেশের মাঝে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। এ এলাকায় সাধারণ স্বার্থের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে যৌথ প্রচেষ্টার প্রস্তুতি চলছে। আমি আজারি জনগণের উন্নতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
ওদিকে, গতকাল (সোমবার) ইরান তার আর্দাবিল প্রদেশের আকাশ-সীমায় আর্মেনীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আজভিশন জানিয়েছে, ড্রোনটি আর্মেনিয়ার বলে ধারণা করা হচ্ছে। ড্রোনটির ধরণ স্পষ্ট করা হয়েছে। এটি পরিদর্শক ড্রোন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ইরান বলেছে, নাগোর্নো-কারাবাখ দখলমুক্ত করতে মুসলিম উম্মাহর সমর্থন দরকার। দেশটির অন্যতম শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মোকারম সিরাজী এক বিবৃতিতে বলেন: এ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে আজারবাইজানকে ইরান পুরোপুরি সমর্থন করে। বছরের পর বছর নাগোর্নো-কারাবাখ দখল হয়ে আছে। এ নিয়ে মাঝে-মধ্যে যুদ্ধ হয়। সম্প্রতি ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আর এতে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে। দখলদার আর্মেনিয়া এজন্যে দায়ী। যে কোনো আলোচনা, মধ্যস্থতা ও সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এর মূলে থাকতে হবে আজারবাইজানের পূর্ণ স্বাধীনতা। দেশটির ভূখণ্ড থেকে আর্মেনিয়াকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। পবিত্র ধর্ম মোতাবেক, সব নবী – বিশেষ করে, যিশু নিপীড়ন থেকে দূরে ছিলেন। সে অনুসারে, আর্মেনীয় সরকারকে দখলদারিত্ব ও নিপীড়ন বন্ধ করতে সব খৃষ্টানকে বোঝানো উচিত।
সূত্র: ইয়েনি শাফাক, রয়টার্স, আজভিশন, ট্রেন্ড.এজেড, আজের নিউজ ও বিবিসি।