ইইউ’র বিরুদ্ধে তুরস্কের আরেকটি বড় জয়।

0

রিপোর্টার: রুবায়েত।

উত্তর সাইপ্রাসে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তুর্কি সমর্থিত প্রার্থী এরছিন তাতার ৫১.৭৪% ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের নীতির একজন সমর্থক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুস্তাফা আকিনজি ৪৮.২৬% ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৬৭,৩%।

১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে গ্রীস অভিযান চালালে, তুরস্কের প্রতিরোধের মুখে রাষ্ট্রীয়ভাবে দু ভাগ হয়ে যায় ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রটি। তুরস্ক সমর্থিত উত্তর সাইপ্রাস স্বল্প স্বীকৃত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলটির ৯৯% বাসিন্দা সুন্নী মুসলিম।

এরছিন তাতার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তুরস্ক সরকারের সমর্থিত প্রার্থী। অন্যদিকে, মুস্তাফা আকিনজি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন ছিলো তার প্রতি।

ফল ঘোষণার পর, তাতারকে খোশ আমদেদ জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। টুইটারে এরদোয়ান বলেন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি এরসিন তাতারকে মুবারকবাদ জানাচ্ছি। তুরস্ক তাকে ও তার দেশের মানুষদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।

আনাদোলু এজেন্সির চিফ রিপোর্টার সরওয়ার বলেছেন: গত পাঁচ বছরে এরছিন তাতার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আঙ্কারার সঙ্গে একই সুরে কথা বলেছেন এবং এবারের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও তুর্কি সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন। কিন্তু মুস্তাফা আকিনজি গত পাঁচ বছরে সাইপ্রাস ইস্যুতে তুরস্কের বিরুদ্ধে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে হাত মিলাতে এবং বিভক্ত সাইপ্রাস সমস্যা সমাধানে পশ্চিমাদের দেয়া প্রস্তাবগুলো মেনে নিতে সম্মতি জানান। এ কারণে এরছিন তাতারের বিজয় তুর্কি সাইপ্রাস এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তুরস্কের হাতকে আরও শক্তিশালী করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের এ ফলাফল মূলত গ্রীস, গ্রীক সাইপ্রাস ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোগানের আরেকটি বিজয়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে