ইথিওপিয়ায় বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ৫৪!

0

রিপোর্টার: সাইফুল ইসলাম।

রোববার আফ্রিকার শিং’র অন্যতম এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠ খৃষ্টান দেশ (৬২% খৃষ্টান, ৩৪% মুসলিম ও অন্যান্য ৪%) ইথোপিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণে অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে।

ইথিওপিয়ার গোলযোগপূর্ণ ওরোমিয়া অঞ্চলের গাওয়া কোয়ানকা গ্রামের একটি স্কুল-মাঠে ৫৪ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এ হামলার জন্যে ওখানকার বিদ্রোহী, সেকুলার ও বামপন্থী সশস্ত্র গ্রুপ অরমো লিবারেশন আর্মিকে (ওএলএ) সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া লোকজন বলছেন, নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।

ইথিওপিয়া মানবাধিকার কমিশন (ইএইচআরসি) জানিয়েছে, পশ্চিম ইথিওপিয়ার ওল্লেগা নামে পরিচিত অঞ্চলে ৬০ জন সশস্ত্র হামলাকারী সহিংসতায় জড়িত ছিলো। তারা ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ নৃগোষ্ঠী আমহারার লোকজন। বাড়ী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে স্কুলমাঠে জড়ো করে – সেখানেই তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। সরকারী গণনায় ৩২ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। তবে মৃত্যু-সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। এছাড়াও সশস্ত্র গ্রুপটি বাড়ী-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে করে ৭০০-৭৫০ জন লোক বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সোমবার অরোমিয়ার আঞ্চলিক সরকারের তরফে বলা হয়, ওএলএর দুর্বৃত্তরা এ হামলার জন্য দায়ী। তারা পশ্চিম ও দক্ষিণ ইথিওপিয়ায় বোমা হামলা ও অপহরণের মতো কাজে জড়িত থাকে।

ঐ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন: ঐ অঞ্চলে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী হঠাৎ অবস্থান নেয়। এরপর তারা চলে গেলে, ওএলএর তরফ থেকে গ্রামবাসীকে জড়ো করা হয় এবং নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। অন্তত ৫০ জনের লাশ দেখেছি। অনেকে আহত হয়েছেন। তারা লুটপাট চালায় এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

ঐ এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়টি তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। কমিশনের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল বিকেল বলেন: নাগরিকদের এ ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড মানবতার মৌলিক নীতির লঙ্ঘন। বর্বরতার জন্যে কোনো ঘৃণাই যথেষ্ট নয়। তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

এ হামলার ফলে গত বছর শান্তিতে নোবেল জয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবী আহমেদের ওপর নিরাপত্তা বাড়ানোর চাপ বাড়বে। দেশটিতে জাতিগত সহিংসতা বাড়ছে।

ইথিওপিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ঐ অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: গার্ডিয়ান, এএফপি ও উইকিপিডিয়া।

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে