আওয়ার টাইমস্ নিউজ।
গেল শুক্রবার রয়টার্সকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মার্কিন কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মকর্তা বলেছেন: মার্কিন প্রশাসন ভারতকে যে সতর্ক করেছে তার অর্থ হচ্ছে – ভারত রাশিয়া থেকে তার পরিকল্পনা মতো এস-৪০০ আমদানি করলে, তাকে তুরস্কের মতো একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিদায়ী প্রশাসন যখন ক্ষমতার শেষ দিনগুলো পার করছে, তখন তারা ভারতকে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি বাতিলের জন্যে চাপ সৃষ্টি দিলো।
আমেরিকা বলছে, ভারত এ চুক্তি বাতিল করলে, দু দেশের মধ্যকার চলমান কূটনৈতিক টানাপড়েনের অবসান ঘটতে পারে।
ভারতে মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন: রাশিয়া থেকে ভারতের এস-৪০০ কিনতে চাওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন সচেতন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারত এ ব্যবস্থা রাশিয়া থেকে গ্রহণ করেনি। আমরা আমাদের সমস্ত বন্ধু ও মিত্র দেশকে রাশিয়ার সাথে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। কেননা, এতে এসব দেশের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রথম রুশ বাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৪ সালে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনতে জন্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করে ভারত। চুক্তি মোতাবেক, ২০২১ সালেই এর প্রথম চালান ভারতের হাতে পাওয়ার কথা। শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এ প্রযুক্তির সাহায্যে শত্রুর বিমান ও ড্রোনও ধ্বংস করা যাবে।
ট্রাম্প প্রশাসন তখন দিল্লিকে সাফ জানিয়ে দেয়, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনলে, বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত।
এ বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)-এর প্রতিবেদনেও নিষেধাজ্ঞার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন বলছে, ২০১৭ সালে আমেরিকায় যে সামরিকবিষয়ক আইন পাশ করা হয়েছে, তা থেকে নয়াদিল্লি রেহাই পাবে না। ঐ আইনে বলা হয়েছে, যেসব দেশ রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি কিনবে, তাদেরকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে। সূত্র: রয়টার্স।